Saturday, April 15, 2017

আপসের পথে কি সমাধান মিলবে?

আবুল মোমেন

স্বাধীনতার কিছু আগে থেকে, বিশেষত ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পরের দুবছরে, আওয়ামী লীগের যে রূপান্তর ঘটেছিল তার গুরুত্ব স্বাধীনতার পরেও বিবেচিত হলে ভালো হত। অর্থাৎ তখন সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার লক্ষ্যাদর্শে সিপিবি ও ন্যাপসহ আরো প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের সাথে আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক-আদর্শিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তা স্বাধীনতার পরেও ধরে রাখা উচিত ছিল। এসময়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগকে ঘিরে বাঙালি জাতীয়তাবাদী বামপ্রগতিশীল চেতনার যে প্লাটফর্ম গড়ে উঠেছিল তা আরো পোক্ত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ এককভাবে ক্ষমতাসীন দলে পরিণত হল। তৎকালীন সোভিয়েত-বলয়ের শক্তিশালী দল হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিতে গিয়ে সিপিবি ও ন্যাপ (মোজাফ্ফর) বি টিমে পরিণত হল। এ পরিণতি পরবর্তীকালে এদেশের প্রগতিশীল রাজনীতির জন্যে ক্ষতির কারণ হয়েছিল। কেবল দেশের নয় খোদ আওয়ামী লীগের রাজনীতিও যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনকার বাস্তবতায় ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
তরুণদের তো চাহিদা থাকেই আদর্শের রাজনীতির। তারুণ্য সবসময়ই নিজের ক্ষুদ্র গণ্ডিকে ছাপিয়ে গিয়ে বৃহৎ ও মহৎ কিছু অর্জনে শরিক হতে চায়।  এদিক থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম তাকে টানে। আর তাই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের তরুণরা দলমত-নির্বিশেষে অকুতোভয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বীরের সর্বশ্রেষ্ঠ ভূমিকা হল আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় অর্জন। তারই স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে এমন বিজয়ী শহীদদের আমরা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দিয়েছি।
মুক্তিযুদ্ধ চলার সময়ই ছাত্রলীগের মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। স্বাধীনতার পরে এই অর্জনকে আরো বড় ও মহৎ অর্জনে রূপান্তরের স্বপ্ন থেকে ছাত্রলীগ থেকে অসংখ্য মেধাবী তরুণ বেরিয়ে এসে জাসদ ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিল। স্বাধীনতার পরপর এটিই ছিল আদর্শের টানে তরুণদের নিজেকে ছাপিয়ে ওঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নের বড় প্লাটফর্ম। আমরা জানি, নেতৃত্বের ভুল ও দুর্বলতায় তরুণদের এ অভিযান সফল হয় নি, অসংখ্য তরুণ এর বলি হয়েছে। স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন আর কখনো তরুণদের কাছে আদর্শিক রাজনীতির প্লাটফর্মের মর্যাদা বা আকর্ষণ ফিরে পায় নি। গত শতকের আশির দশকে, বিশেষত ইরানের ইসলামি বিপ্লবের (১৯৭৯) পরে, বাংলাদেশেও এরকম বিপ্লবের স্বপ্ন দ্যাখানো সম্ভব হয়েছিল। এতে তরুণদের একাংশ আকৃষ্ট হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের আবহমানকালের সমাজসংস্কৃতি ঠিক গোঁড়া ধর্মান্ধ রাজনীতির জন্যে প্রস্তুত ছিল না।
সমাজসংস্কৃতির এই অসাম্প্রদায়িক মানবিক বুননে একটা রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনীতির বিরুদ্ধে পাকিস্তানি ধারার ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের রাজনীতি চালু করলেন। এ সময় বোঝা গেল বাঙালিসমাজ পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বামপ্রগতিশীল ধারার রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক চিন্তাচেতনাকে এগিয়ে নিলেও ইসলাম নিয়ে তার ধ্যানধারণা বিশ্বাসের গ-ি ছাপিয়ে মননশীল আলোচনার উপযুক্ত ছিল না - মুসলিম সমাজের সংস্কৃতির স্বরূপ কি, কোনটি মুসলমানের করণীয়, করণী নয় ইত্যাদি নিয়ে তার মনে নানা বিভ্রান্তি-সংশয় এবং চিন্তার জড়তা ও ভীরুতা কাজ করে। এই বাস্তবতায় নির্বাচনী রাজনীতিতে এ ধরনের ভোটারদের মন পেতে রাজনৈতিক দলের জন্যে ইসলাম ধর্ম একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াল। স্বভাবতই আওয়ামী লীগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশে মুসলিম সংখ্যগরিষ্ঠ মানুষের দল হিসেবেই ভূমিকা পালন করতে চাইল। সম্ভবত  সেটা পেরেও গেল।
খানিকটা বিভ্রান্তিকর মনে হলেও এ কথা এখনো সত্য এদেশে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতি ও আধুনিক শিক্ষা-সংস্কৃতির যে চর্চা রয়েছে তা সম্ভব হচ্ছে দেশে আওয়ামী লীগ দলটি এখনো বড় দল হিসেবে সক্রিয় রয়েছে বলেই। কিন্তু গভীর আশংকার সাথে যে প্রশ্নটি ওঠে তা হল আওয়ামী লীগ যে আপসের রাজনীতির পথে চলেছে তাতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির মধ্যে যে সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের উপাদান রয়েছে তার ভারসাম্য রক্ষা করা কি সম্ভব? আগুন নিয়ে খেলার পরিণতিই ডেকে আনবে কিনা সে শংকা থেকেই যায়। হেফাজত ও কওমি মাদ্রাসার প্রতি যে ধরনের ঔদার্য দেখানো হচ্ছে তার সুদূরপ্রসারী পরিণতি কী হবে তা দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির সংকট থেকেই বোঝা যাবে।
ধর্ম নিয়ে আলোচনার ভিত্তি হল  বিশ্বাস - সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আচার অনুষ্ঠান ও অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক রেওয়াজ-চর্চা নিয়ে আলোচনা, বিতর্কের পথও বন্ধ করে রাখা হয়েছে যদিও মুসলিমসমাজের মধ্যেই এসব বিষয়ে অনেক বিভেদ ও বিবাদ বর্তমান। বিপরীতে চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অহরহ সমালোচিত ও বিতর্কিত হচ্ছে। আশির দশক থেকে কখনো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কখনো সামাজিক ঔদার্যে-প্রশ্রয়ে বাঙালিসমাজকে একটি নিরেট মুসলিমসমাজে রূপান্তরিত করার সাংস্কৃতিক অভিযান চলেছে। একটি দৃষ্টান্ত দেব। এমন অভিযানের ফলেই বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রিকসা-বাস-ট্রাক বা গণপরিবহন পেইন্টিঙের ঐতিহ্যবাহী ধারাটির অবসান হয়েছে। একে ধর্মবাদীদের এক নীরব বিপ্লব বলা যেতে পারে। বাঙালি রমণী, এমনকি গ্রামীণ নারীও যে ক্রমে শাড়ি ছেড়ে সালোয়ার-কামিজে অভ্যস্ত হচ্ছে তার পেছনে কাজকর্মের সুবিধার যুক্তির সাথে ধর্মীয়প্রচারণাও কাজ করছে।
পঞ্চাশ ও ষাটের এবং সত্তরের দশকের সাথে আজকের সমাজচিত্রের তুলনা করলে এই পরিবর্তনগুলো বোঝা যাবে।
আবার এই বাস্তবতাটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে পঞ্চাশ, ষাট এবং সত্তরের দশকেও আমাদের নাগরিকজীবন কেটেছে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের বামপ্রগতিশীল প্রতিবাদী রাজনীতির বাতাবরণে। প্রতিবাদী রাজনীতিতে আদর্শ ও ইতিহাসের দায় এবং নৈতিকতা ও ত্যাগের ভূমিকা থাকে। কিন্তু একথা ঠিক আজ পৃথিবী জুড়ে ধর্মীয় ও জাতিগত চেতনার দাপট বাড়ছে। প্রতিবেশী ভারতে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ক্রমেই সর্বগ্রাসী হয়ে উঠছে। তার প্রতিক্রিয়া এদেশে দেখা দেবে তা-ই স্বাভাবিক। আবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মিলে যে শক্তিশালী পশ্চিমা বিশ্ব সেখানেও উগ্র জাতীয়তাবাদের সাথে - কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসলামের বিরুদ্ধে - ধর্মীয় জোশের উপাদান জোরদার হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আধিপত্যবাদী পদক্ষেপের ফলে তাদের ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী একটা রূপ দাঁড়িয়েছে। যতই সৌদি আরব, কুয়েত, আমিরাত, জর্ডান, তুরস্কের সরকার এদের পক্ষাবলম্বন করুক না কেন আজ যে মুসলিম তরুণরা জঙ্গিবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তার কারণ পশ্চিমের এই ভূরাজনৈতিক ভূমিকা এবং উপরোল্লিখিত মুসলিম দেশের পশ্চিমা তোষণ নীতি। এই বাস্তবতার আলোকে তাদের মধ্যে মুসলিমসমাজের পক্ষে ও ইসলামের মর্যাদার প্রশ্নে ন্যায়যুদ্ধের তাগিদ তৈরি হচ্ছে।
সরকার একদিকে পুলিশি (অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন) ব্যবস্থার মাধ্যমে জঙ্গিদের দমন করতে আর অন্যদিকে ইসলামি মতাদর্শের সংগঠন গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে ইসলামের জঙ্গিবাদ বিরোধী রূপটি তুলে ধরে জঙ্গিলাইনে তরুণদের মগজধোলাই বন্ধ করতে চাইছেন। এই পথে কত দূর যাওয়া যাবে সে প্রশ্ন উঠবেই। জঙ্গি দমনের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত জোটকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার যে এজেণ্ডা সরকারের রয়েছে এ পথে তা পূরণ হলেও সরকার, ক্ষমতাসীন জোট এবং শিক্ষাসহ সামাজিক বিকাশের অন্যান্য উপাদানগুলো ক্রমেই তার অসাম্প্রদায়িক রূপ হারাতে থাকবে। বাঙালির চিরায়ত মানবিক সংস্কৃতির ঐতিহ্য ভীষণভাবে চাপে পড়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, ধর্মভিত্তিক যেসব সংগঠনের সাথে সরকার ও আওয়ামী লীগ সখ্য করছে তারা রাজনৈতিকভাবে জামায়াতের মত সংগঠিত না হলেও ধর্মীয় চিন্তার দিক থেকে একইভাবে গোঁড়া ও ধর্মান্ধ। ইতোমধ্যে তারা নিজেদের শক্তিরও পরিচয় দিয়েছে পাঠ্যবইয়ে সাম্প্রদায়িক বিবেচনায় রদবদল ঘটাতে সরকারকে বাধ্য করে। এবার তারা পয়লা বৈশাখ ও মঙ্গলশোভাযাত্রার বিরুদ্ধে নেমেছে। অন্যদিকে সরকার তাদের সাথে আপস করে চলতে গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রির ন্যূনতম চাহিদার বিষয়টি বিচারে না নিয়েই কওমি ধারার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দিয়ে একটা গোঁজামিল দিয়ে ভোটের উপকার করছেন, না ইসলামের নাকি দেশের?
এ প্রেক্ষাপটে কিছু সোজাসাপ্টা কথা বলা যায়। আমাদের যে উন্নতি হচ্ছে, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পাওয়া, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে যোগাযোগ ও ব্যবসায়ের বিকাশ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি হল বিজ্ঞান।
কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যথার্থ বিজ্ঞান চর্চায় মনোযোগী নয়। মূল কারণ সমাজমানসই বিশুদ্ধ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার অনুকূল নয়। আদতে সমাজে আমরা ভোগের চাহিদা তৈরি করতে পারলেও জ্ঞানের চাহিদা তৈরি করতে পারি নি। ইসলামে যদিও  জ্ঞানচর্চার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা সত্ত্বেও না-সরকারের আনুকূল্যপ্রাপ্ত না-সরকারের প্রতিকূলতার সম্মুখীন ধর্মীয় দলের কোনটিই প্রকৃত জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় আগ্রহী নয়। জ্ঞানচর্চার যথার্থ পরিসর তৈরি কোনো ক্ষেত্রেই আমরা করতে পারি নি - বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, মাদ্রাসায় তো নয়ই। সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে ডিগ্রির স্বীকৃতি থেকে কি সুফল শিক্ষার্থী পাবে!
বাংলাদেশের উন্নতিকে টেকসই করার লক্ষ্য (এসডিজি) পূরণ করতে হলে ধর্ম নিয়ে যারা রাজনৈতিক ফায়দা উশুল করতে চায় তাদের সাথে আপস করে পথ চলে লাভ হবে না। তাতে ইসলামচর্চারও কাক্সিক্ষত উন্নতি অর্জিত হবে না।
গোড়ার কথায় ফিরে গিয়ে বলতে হবে গোটা বিশ্ব আজ যে কালান্তরের সম্মুখীন তা দীর্ঘদিনের আদর্শহীন ক্ষমতার রাজনীতির মাধ্যমে মোকাবিলা করা যাবে না। আদর্শের এই শূন্যতায় মুসলিম দেশের তরুণদের একটি অংশ বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে।
তারাও তরুণ এবং তারাও তো নিজের চেয়ে বড় ও মহৎ কাজে যুক্ত হতে চায়, তাদের সামনে গণতান্ত্রিক রাজনীতি তেমন কিছু দাঁড় করতে পারে নি। এই ব্যর্থতার খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের এবং সারা বিশ্বের দেশে দেশে। আমরা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে তারুণ্যের অপচয় প্রত্যক্ষ করেছি একবার। আজ প্রায় চার দশক পরে ইসলামের নামে আরেকবার একই ধরনের ট্র্যাজেডি ঘটতে দেখছি। এমনটা কি আমরা ঘটতে দিতে পারি?
গোঁজামিল দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে না, জঙ্গি মেরে এই প্রবণতা শেষ করা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশ হল মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী দেশ। এখানকার মানুষ ধর্মভীরু, ধর্মচর্চায় উৎসাহী, আবার চিরায়ত মানবতাবাদী ঐতিহ্যের প্রতিও আগ্রহী। এ মানুষের পক্ষে সংকটাপন্ন বিশ্বে মানবতার পক্ষে নতুন বাণী হাজির করা সম্ভব যা সকল অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে পারে। মূলধারার রাজনীতিকে নানা কৌশল ও আপসের চিন্তা বাদ দিয়ে স্পষ্টভাবে মানবিক মহৎ আদর্শের গণতান্ত্রিক রাজনীতির কথা ভাবতে হবে।


***