Tuesday, August 25, 2015

স্কুল শিক্ষা নিয়ে নতুন ভাবনার সময় এসেছে

আবুল মোমেন

দেশের সামগ্রিক শিক্ষাকে পরীক্ষামুখী মুখস্থবিদ্যার বৃত্ত থেকে কীভাবে বের করে প্রকৃত শিক্ষার বৃহৎ পরিসরে মুক্তি দেওয়া যায় সেটাই আজ শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের ভাবনার প্রধান বিষয় হওয়া উচিত। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে - অন্তত শিক্ষার ক্ষেত্রে - সংখ্যাগত দিকটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং তাতে নিঃসন্দেহে আমরা ভালো করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়েশিশুসহ প্রায় শতভাগ শিশুর স্কুলে ভর্তি হওয়াই একটা বড় অর্জন। মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার যথেষ্ট হলেও আমাদের গ্রামগঞ্জের বাস্তবতায় এটাকেও বড় অর্জন বলতে হবে। আর সব ছাত্রের জন্যে বছরের প্রথম দিনে উৎসবের মাধ্যমে বিনামূল্যে সব বই - প্রায় ৩২ কোটি বই - বিতরণ চমকপ্রদ এবং বিস্ময়কর সাফল্য।
২০১৫ তে এমডিজি শেষ হবে এবং তারপর শুরু হবে কৌশলগত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনের পর্ব। এই লক্ষ্য অর্জন আমাদের জন্যে কঠিন হয়ে পড়তে পারে যদি না গুণগত উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো সময়মত অনুধাবন করে এখনই যথাযথ পদক্ষেপের কথা ভাবা না হয়। আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা এবং যোগ্যতা নিয়ে কারো মনে প্রশ্ন নেই। তাঁর সাথে কথা বলে মনে হয়েছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাটি দেশের গ্রামগঞ্জের দরিদ্রমানুষের জন্যে  যাঁরা দেশের জনসংখ্যার গরিষ্ঠাংশ - সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার বিষয়ে ইতিবাচক প্রণোদনার কাজ করেছে। মনে হয় তাঁর পর্যবেক্ষণটি বাস্তবতারই প্রতিফলন। কিন্তু মাঠপর্যায়ে কাজ করে প্রথম থেকেই যারা এই পরীক্ষা প্রচলনের যৌক্তিকতা ও সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি, এটাই তাদের প্রশ্নের সদুত্তর কিনা সে বিষয়ে এখনও আমি সংশয় প্রকাশ করব। এডুকেশন ওয়াচের গত ১৯ আগস্ট প্রকাশিত ২০১৪ সনের প্রতিবেদন আমার মত সকলের সংশয়কে যথেষ্ট শক্ত ভিত্তি দেয়। এটি নিয়ে ব্র্যাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস এবং প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে দেশের অগ্রগণ্য বিশেষজ্ঞ ড. মনজুর আহমদ, গত ১৯ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে যে নিবন্ধ লিখেছেন তা থেকে কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরছি। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মূল্যায়নভিত্তিক এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত, ড. মনজুরের ভাষায়, কয়েকটি মূল লক্ষণীয় বক্তব্য হল - এ পরীক্ষা প্রবর্তনের ফলে ১. পরীক্ষাকেন্দ্রিক প্রশ্নোত্তর মুখস্থ করার প্রবণতা উৎসাহিত হচ্ছে, ২. স্কুলের বাইরে প্রাইভেট পড়ার ওপর নির্ভরতা বাড়ছে, ৩. গাইডবই মূল পাঠ্যবইকে ছাপিয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে, ৪. ছাত্ররা নকল ও অনৈতিক আচরণে আকৃষ্ট হচ্ছে, ৫. এ পদ্ধতিতে শিক্ষার বৈষম্য বাড়ছে।
ওপরের পাঁচটি বক্তব্য নিয়ে বাস্তবতা সম্পর্কে ওয়াকেবহাল কারো মনে সংশয় থাকার কথা নয়। আর যদি আরেকটু গভীরে গিয়ে এ পর্যায়ে শিক্ষার হালচাল সম্পর্কে জানতে চাই তার জন্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনই যথেষ্ট বলে মনে করি। সরকার কেন নিজেদেরই মাঠপর্যায়ের জরীপের প্রতিবেদন উপেক্ষা করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। মোটের ওপর এ দুই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে ড. মনজুর সমাপনী পরীক্ষার কারণেই সৃষ্ট প্রাথমিক শিক্ষার পাঁচটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরেছেন । পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে - এডুকেশন ওয়াচ -
১. পরীক্ষা কি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের সুনির্দিষ্ট দক্ষতাগুলো পরিমাপ করতে পারে? প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণেই দেখা যাচ্ছে উচ্চ পাশের হারের বিপরীতে কেবল বাংলা ও গণিতে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জনের হার মাত্র এক চতুর্থাংশ। বাকি তিন-চতুর্থাংশের অর্জন নানামাত্রায় অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার নিচে। আমরা জানি তার মধ্যে বেশ বড় অংশের অবস্থা হতাশাজনক।
২. এতে কি শিক্ষাদান ও গ্রহণ প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মান বাড়ছে? না, এতে মুখস্থের প্রবণতা উৎসাহিত হচ্ছে, ছাত্রের বিষয় বোঝা ও সৃজনশীলতা এবং পাঠক্রমের মূল বিষয়গুলো অনুধাবন উপেক্ষিত হচ্ছে। তদুপরি চিন্তা ও যুক্তিচর্চা নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
৩. এটা কি মানসম্পন্ন শিক্ষার আবশ্যিক উপাদান হিসেবে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রের বুনিয়াদি মূল্যায়নের সহায়ক, সম্পূরক এবং এ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে? বুনিয়াদি মূল্যায়ন শিক্ষকের জন্যে প্রাত্যহিক কাজ যা সমাপনী পরীক্ষার মত সামষ্টিক চূড়ান্ত মূল্যায়নের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সকলে মিলে এ পরীক্ষাটিকেই প্রাথমিক শিক্ষার এমন এক কেন্দ্রীয় নায়ক করে তোলা হয়েছে যাতে অত্যুৎসাহী অভিভাবক, কোচিং ব্যবসায়ী এবং অযাচিত হস্তক্ষেপে সিদ্ধ গণমাধ্যম (নিয়মিত প্রশ্নোত্তর ছাপিয়ে আর পরীক্ষাভিত্তিক প্রচারণার মাধ্যমে) মিলে প্রায় প্রথম শ্রেণি থেকেই যে কোনো পরীক্ষাতেই নব্বইয়ের ঘরে নম্বর পাওয়াকেই মোক্ষ বানিয়ে ছেড়েছে। বাস্তব অবস্থা জেনে সাক্ষ্য দিচ্ছি অভিভাবক-শিক্ষকরা মিলে ছাত্রদের শৈশব তছনছ করে দিচ্ছে।
৪. এটি কি শিক্ষাব্যবস্থায় সমতা বজায় রেখে মান অর্জনে অবদান রাখছে? সঙ্গত কারণেই যেসব অভিভাবক পাঁচসালা পরিকল্পনা নিয়ে (১ম-৫ম শ্রেণি) সন্তানদের মডেল টেস্টের মুখস্থবিদ্যায় পারঙ্গম করে তুলতে পারেন তারা বেশি ভালো করেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপেক্ষাকৃত গরিব ঘরের ছাত্ররা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
৫. এটি কি শিশুদের জন্যে একটি উন্নয়নমুখী ও সহায়ক বাতাবরণ তৈরির গুরুত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ? ম্যাজিক মান জিপিএ ৫ নিয়ে গণমাধ্যম, অভিভাবকসহ সমাজ, কোচিং ব্যবসায়ী শিক্ষকবৃন্দ মিলে যে প্রচারণার মায়াজাল সৃষ্টি করেছেন তাতে যে অধিকাংশ ছাত্র তুলনায় কম নাম্বার পায় তাদের কল্পনাতীত সামাজিক ও মানসিক দুর্দশা আড়ালে থেকে যায়। আমাদের নিষ্ঠুর অসংবেদনশীল গণমাধ্যম ও অভিভাবকসমাজ শিশুমনের ব্যথা-বেদনা, সংকোচ-সংবেদনার কোনো খবরই রাখে না, তোয়াক্কা করে না।
সকলেই জানেন প্রাথমিক পর্ব হচ্ছে শিশুর শিক্ষার - জীবনব্যাপী অব্যাহত শিক্ষাগ্রহণের - প্রস্তুতি কাল। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় - এ হল সংগ্রহ ও সঞ্চয়ের কাল। এটি কোনো কারণেই ছাত্রের কাছে ফল প্রত্যাশা করার সময় নয়। যা দেখার তা হল তার সংগ্রহ ও সঞ্চয়ের কাজটি বাধাহীনভাবে ঠিকঠাকমতো চলছে কি না, তার সংগ্রহ ও সঞ্চয়ের ভা-ার মানসম্পন্ন সম্ভারে সমৃদ্ধ হয়ে চলেছে কিনা। পরীক্ষা কেবল বাধা নয়, তার ভূমিকা মুখ্য ও প্রধান হয়ে উঠলে ছাত্রের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। সাধে কি মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন একে নাইটমেয়ার বা দুঃস্বপ্ন আখ্যা দিয়েছেন। আমাদের ব্যবস্থার গুণে এখন পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়াটাই শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্ররা সাক্ষ্য দিচ্ছে কীভাবে বাবা-মা এবং কোচিং শিক্ষকরা জিপিএ ৫ পাওয়ার জন্যে তাদের ওপর শারীরিক-মানসিক লাঞ্ছনাসহ জুলুম চালায়। তাদের শৈশব হরণ করা হয়েছে। 
পরীক্ষা প্রকৃতিগতভাবে একটি প্রতিযোগিতা। জীবন প্রতিযোগিতাময় এ বিষয়ে সন্দেহ নেই, এবং এর জন্যে প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে মানবসমাজ গঠন এবং মানবসভ্যতার বিকাশে প্রতিযোগিতার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল সহযোগিতা। মানুষের অগ্রগতিকে পাখির উড্ডয়নের সাথে তুলনা করে বলা  যায় দুটি ডানার মত-ই সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার ভূমিকা এখানে। কিন্তু কেবল প্রতিযোগিতার মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠলে তাতে স্বার্থপরতা, হিংসা-বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতার বীজ নিয়েই বড় হবে শিশু। আর বৃহত্তর সমাজবাস্তবতায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তার ভিতরে পরিপুষ্ট এসব বীজ শক্তি নিয়েই প্রকাশিত হবে। আমাদের সমাজে এটাই ঘটছে। মানবমনের এই গতিপ্রকৃতির সাথে শিক্ষার সংশ্লিষ্টতা বুঝতে হলে শিক্ষা ও মানবজীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে যে ধারণা থাকা প্রয়োজন, দুর্ভাগ্যের বিষয়, তা বাস্তবজীবনে জয়ী হওয়ার জন্যে মরিয়া ও মোহগ্রস্ত বিষয়বুদ্ধি-তাড়িত সমাজের নেই। অথচ হাতেনাতে এর প্রমাণ পাওয়া যায় উচ্চ শিক্ষার ভর্তি পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ে। অধিকসংখ্যায় উত্তীর্ণ করাতে এবং উচ্চ শিক্ষায় আসন দিতে কেবলই মান নামানোর নির্দেশনা আসে। তাতে প্রাথমিক-মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরিসংখ্যান চমকপ্রদ দেখায়, কিন্তু মানবিচারের সময় ধরা পড়ে যায় ফাঁক ও ফাঁকি। এভাবে আমরা শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না এবং, আরও রূঢ় বাস্তবতা হল, দুর্নীতির মহামারিসহ সামাজিক অবক্ষয় ঠেকাতে পারব না, সকল প্রতিষ্ঠানের অধোগতি ও অকার্যকরতার অবসান হবে না।
টানা চল্লিশ বছর ধরে শিশুর শিক্ষা ও মানসবিকাশের কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি উত্তরোত্তর পরীক্ষার চাপ বাড়ছে, এবং গত কয়েক বছরে তা শিশু-নিপীড়নের মাত্রাছাড়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। সকলকে সতর্ক করে বলব, এর ফল জাতির জন্যে ভালো হবে না। ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস ও মাদকের মত অভিশাপ বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ শৈশবে মানবিক বিকাশের উপযুক্ত রসদের ঘাটতি। আর সমাজে অসহিষ্ণুতা, আত্মকেন্দ্রিকতা, ক্ষুদ্রতা, নিষ্ঠুরতা এবং শিশু-নারী-দরিদ্র ও  প্রান্তিকজনের প্রতি উপযুক্ত সংবেদনশীলতার অভাবের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তা থেকে পরিত্রাণ দূরের কথা, তা আরও প্রকট হয়ে উঠবে। দুর্নীতি এবং অপরাধপ্রবণতা তো গলগ্রহের মত সঙ্গী হয়ে রয়েছে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশেদেশে ইসলামি জঙ্গিদের উত্থান এবং তাদের হাতে মানবজাতির সাংস্কৃতিক সম্পদের যে বেহাল দশা হচ্ছে তার  প্রেক্ষাপটে গত এপ্রিলে প্যারিসে ইউনেস্কোর একটি বৈঠক হয়েছিল। আর তার আলোচনার পটভূমিতে গত ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রীর আহ্বানে মিলান এক্সপো ২০১৫-র হল ঘরে বসেছিল ‘জনগণের মধ্যে সংলাপের উপকরণ হিসেবে সংস্কৃতি’ শীর্ষক সম্মেলন। তাতে বিশ্বের ৮৫টা দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছিলেন। আমন্ত্রণপত্রেই গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতির ভূমিকা উত্তরোত্তর বাড়ছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ উপন্যাস শেষের কবিতায় লিখেছিলেন, কমলাহীরের পাথরটি হল বিদ্যা আর তা থেকে যে আলো ঠিকরে বেরোয় তা হল সংস্কৃতি। আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি পরীক্ষার আতিশয্য ও সামূহিক চাপে খোদ বিদ্যাই অনর্জিত থেকে যাচ্ছে, ফলে আজ শিক্ষিত (আদতে ডিগ্রিপ্রাপ্ত) মানুষের কর্ম ও চিন্তায় আলোর প্রকাশ ঘটে না।
আমরা আমাদের কাজ শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই আশির দশকের গোড়া থেকে স্কুল চালু করে, খানিকটা রবীন্দ্রনাথের ভাবনার অনুসারে, বলে এসেছি শিক্ষার সাথে সংস্কৃতিচর্চার সমন্বয় না হলে তা সার্থক হবে না। বলা প্রয়োজন, আমরা সংস্কৃতি বলতে গান-বাজনা-নাচ-নাট্য অর্থাৎ কেবল কলাচর্চার কথা বলি না, সংস্কৃতি শব্দটির ব্যাপ্ত ও পুঙ্খানুপঙ্খ তাৎপর্যসহ এর সমগ্রতায় ধরতে চাই। এভাবে চর্চা হলে শিশু সাহিত্যশিল্পে দক্ষতার পাশাপাশি সৃজনশীল প্রতিভা ও মানবিক গুণাবলী বিকাশের অবকাশ পাবে। আর শিশু সমৃদ্ধ মন নিয়ে বড় হলে তার প্রভাব সমাজে পড়বেই। তাতে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা, নিষ্ঠুরতার মত ক্ষুদ্রতা ও অমানবিকতার সংস্কৃতি ও গ্লানি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। শিক্ষা নিয়ে - অন্তত স্কুল শিক্ষা নিয়ে - আমাদের নতুনভাবে ভাবার সময় এসেছে।
                                                                                 ***